#বড্ডজরুরি
#শম্পাসাহা
প্রায়ই একটা পোষ্ট ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করে,
আমরা হাউস ওয়াইফ!যাদের চব্বিশ ঘন্টা বিনা মাইনের চাকরি।
আচ্ছা যারা ওয়ার্কিং,তারা কি ওয়াইফ নয়,নাকি হাউসে থাকে না? নাকি তাদের বাড়ি এসে কোনো কাজ করতে হয় না?
বরং যারা ওয়ার্কিং তাদের কাজের জগৎ আর সংসার দুটোই সমান তালে চালাতে হয়।
মাইনে পায়,এবং সে মাইনে নিশ্চয়ই তাকে কেউ মুখ দেখে দেয়না।
আর সব ওয়ার্কিং দের ও বাড়িতে কাজ থাকে এবং সেটা বিনে মাইনের।
অনেকেই বলবেন, তারা ইচ্ছা করলে কাজের লোক রাখতে পারেন।না পারেন না।সব সময় তার সে স্বাধীনতা থাকে না।এবার সব কথায় কে ঝগড়া করে?আর ঝগড়া করলে কাজ নাও হতে পারে।এবার রইল ডিভোর্স।কথায় কথায় কি কেউই ডিভোর্স করতে চায়?একান্ত ঠ্যালায় না পড়লে।
আবার অনেক ওয়ার্কিং মহিলার বক্তব্য তাদেরই যত কষ্ট,হাউস ওয়াইফরা কি সুখে সারাদিন বাড়ি থাকে।কিন্তু এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাদেরকে কথাও শুনতে হয়,”রোজগার তো করো না,কি করে বুঝবে?”
আবার অনেক বাড়িতে হাউস ওয়াইফ থাকলেও কাজের বা রান্নার লোক থাকে।এখন প্রশ্ন,এই লেখার উদ্দেশ্যে কি?
উদ্দেশ্য একটাই, অযথা ফুটেজ খেতে ,আমি হাউস ওয়াইফ “বলে নাকি কান্না জুড়বেন না।আর ওয়ার্কিং বলে আপনি মাথা কিনে নেননি।
সমস্যা সবার থাকে, সে নারী হোক, পুরুষ হোক, ওয়ার্কিং বা হাউস ওয়াইফ।কাউকে ছোট করে কারো সমস্যা কে নস্যাৎ করে নিজের সমস্যা বড় করে দেখাতে সামনের জনকে গুরুত্ব হীন দেখাবেন না।সবার ক্ষেত্রেই পারষ্পরিক সম্মানটা বড্ড জরুরি।
©®
শম্পা সাহা